আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত শাহনাজ রহমতউল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দেশ বরেণ্য সংগীত শিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ।

রোববার বাদ জোহর বারিধারার পার্ক রোড জামে মসজিদে জানাজা শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বনানীর সম্মিলিত সামরিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

জানাজার আগের শিল্পীর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবুল বাশার রহমতউল্লাহ স্ত্রীর আত্মার শান্তির জন্য সবার কাছে দোয়া চান।

পার্ক মসজিদে জানাজায় চিত্রনায়ক উজ্জল, সংগীত শিল্পী খুরশিদ আলম, ফুয়াদ নাসের বাবু ও গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়েজীসহ, আত্মীয়-স্বজন ও ভক্ত-অনুরাগীরা অংশ নেন।

এর আগে স্বজন, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও ভক্তসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শাহনাজ রহমত উল্লাহর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বারিধারায় নিজের বাসায় শেষঃনিশ্বাস ত্যাগ করেন ৬৭ বছর বয়সী এ শিল্পী।

একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী শাহনাজ রহমতউল্লাহর জন্ম ১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকায়। তার মেয়ে নাহিদ রহমতউল্লাহ এবং ছেলে এ কে এম সায়েফ রহমতউল্লাহ দেশের বাইরে থাকেন।

শাহনাজের ভাই প্রয়াত আনোয়ার পারভেজ ছিলেন প্রখ্যাত সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক। আরেক ভাই জাফর ইকবাল ছিলেন জনপ্রিয় নায়ক।

১৯৬৩ সালে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেন শাহনাজ রহমতউল্লাহ। এসময় তার বয়স মাত্র ১১ বছর। এরপর বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

২০০৫ সালে বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে শাহনাজ রহমতউল্লাহর গাওয়া চারটি গান স্থান পায়। সঙ্গীত জীবনে তার চারটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।

শাহনাজ রহমতউল্লাহর দেশাত্মবোধক গানের পাশাপাশি গাওয়া ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘সাগরের তীর থেকে’, ‘খোলা জানালা’, ‘পারি না ভুলে যেতে’সহ অনেক গানই এখনও মানুষের মুখে মুখে।